টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবিরে গুলিবর্ষণ তিনজন গুলিবিদ্ধ

টেকনাফ প্রতিনিধি | 
টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের সন্ত্রাসীদের গুলিতে একই পরিবারের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধরা হলেন টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আই ব্লক ও ৫৫৮ নম্বর রুমের মৃত হোসেন আলীর ছেলে মো. আজিজুল হক (৫৫) তার স্ত্রী তৈয়ুবা খাতুন (৪০) এবং ছেলে হোসেন জোহার (১৪)।

৫ নভেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যার দিকে নয়াপাড়া মুচনী নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ এএসআই মো. গোলাম আজম।

পুলিশ ও রোহিঙ্গাদের সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধায় রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরুল আলম ও মো. সাদেকের নেতৃত্বে এক দল অস্ত্রধারী নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের আই ব্লকের বাসিন্দা মো. আজিজুল হকের ঘরে হামলা চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা লোকজন চিৎকার দিলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর গুলিবর্ষণ চালায়। এতে একই পরিবারের ওই তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় রোহিঙ্গা শিবিরের আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে পাহাড়ের দিকে ঢুকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে শিবিরের ভেতরে স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাদের অবস্থার অবনতি দেখে কক্সবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাদের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় রোহিঙ্গাদের মাঝে আতংঙ্ক দেখা দিয়েছে।

গুলিবিদ্ধ আজিজুল হক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছিল। গত কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা জিয়া নামে এক সন্ত্রাসীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে ধরে দিয়েছিল, এই অভিযোগে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধরনা করছেন রোহিঙ্গা নেতারা।

কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি, হামলাকারীদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই মোহাম্মদ গোলাম আজম জানান, গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে প্রাণে বাঁচতে প্রায় ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে এসে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে অশ্রয় নিয়েছে। এর আগে আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এসব রোহিঙ্গারা দিন দিন বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে।


শেয়ার করুন