টানা অষ্টম দিনের মতো আন্দোলনে বেসরকারি শিক্ষকরা

ডেস্ক নিউজ:
মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে টানা অষ্টম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

প্রেসক্লাব এলাকায় দেখা যায়, গত কয়েকদিনের মতো আজ সকাল থেকে শিক্ষকদের স্লোগানে উত্তাল প্রেসক্লাব এলাকা। প্রেসক্লাবের সামনে থেকে জাতীয় ঈদগাহের গেট পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। পুলিশ তাদের প্রেসক্লাব সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে আন্দোলন হলেও কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে শিক্ষকদের আরও ১০টি সংগঠন। এই সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়ন (বাশার-জসিম), বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম (সাইদুল-ইসলাম), এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরাম (বাশিফ), বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস), বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (প্রিন্স), জাতীয়করণপ্রত্যাশী মহাজোট, বেসরকারি ভোকেশনাল শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদ ও বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম (অপর অংশ)।

শিক্ষক নেতারা জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।

সোমবার (১৭ জুলাই) বিকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক নেহাল আহমেদের আহ্বানে বৈঠকে অংশ নিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক প্রতিনিধিদের পাঁচ সদস্যের একটি দল মাউশিতে যান। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত বৈঠক হয়। তবে বৈঠকের পরও সমস্যার সমাধান হয়নি।

বৈঠক শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি বজলুর রহমান মিয়া জানান, মাউশি ডিজিসহ অন্যরা আমাদের জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিব অসুস্থ। তবে মাউশির পক্ষ থেকে আমাদের দাবির বিষয়টি মন্ত্রীকে জানানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানা যাবে। যেহেতু আমরা সুস্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি, তাই আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

অন্যদিকে, মাউশির ডিজি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ডেকে তাদের দাবির বিষয়টি শুনেছি। এ দাবির বিষয়টি উচ্চপর্যায়ে অবহিত করব। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আন্দোলন প্রত্যাহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধও জানান তিনি।


শেয়ার করুন