কুতুবদিয়ার নড়বড়ে বেড়িবাঁধ শংকিত দ্বীপবাসী

হুমায়ুন সিকদারঃ

কুতুবদিয়ার বেডিবাঁধ নড়বড়ে হওয়ায় গত পুর্ণিমা ও অমাবস্যার জোয়ারে কুতুবদিয়ায় উত্তর ধুরুংয়ের কায়সার পাড়া ও নয়াপাড়া প্লাবিত হয়েছে । শংকিত হয়ে পড়েছে দ্বীপবাসী।
ক’দিন আগে সুপার সাইক্লোন আম্পান’র প্রভাবে নড়বড়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বড়ঘোপের আমজাখালী, আলী আকবর ডেইলের হায়দার পাড়া ও উত্তর ধুরুং’র কায়সার পাড়া।

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানিতে একাকার হয়ে যেতে পারে আশংকা করছেন ওই এলাকার লোকজন।
দ্বীপবাসী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।

করোনা মহামারিতে দিশেহারা এলাকাবাসী এ অবস্থায় পুর্ণিমা ও অমাবস্যার জোয়ারের পানি আরেক ভোগান্তি বলে জানায় আসহাব উদ্দিন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগামী জুন মাসে বর্ষায় উপজেলার আলী আকবর ডেইল, ধুরংসহ মুরালিয়া, জেলেপাড়া, তাবলরচর, কাইসারপাড়া, বায়ুবিদ্যুৎ এলাকা, আকবরবলীঘাট, চর ধুরুংসহ ১৫টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শংকা প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগীরা।

ইউএনও জিয়াউল হক মীর জানান, পূর্ণিমা ও অমাবস্যার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ওই এলাকাসমুহ আমি পরিদর্শন করেছি এবং যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহণে পাউবোকে পরামর্শ দিয়েছি।
এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানাযায়,
সেকেলে, নড়বড়ে বেড়িবাঁধ দিয়ে এখনো কুতুবদিয়ার প্রায় দেড় লাখ মানুষের জানমাল রক্ষার কাজ চলছে। ‘১৯৯১ সালে ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে উপজেলার প্রায় ৮৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এখন ওই ধরনের ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে দেড় লাখ মানুষকে খুঁজেও পাওয়া যাবে না। কারণ এখন পুরো দ্বীপের চারদিকে ৪০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে প্রায় ১২ কিলোমিটার সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। অন্য বাঁধগুলোর উচ্চতা তিন থেকে ছয় ফুট।’, ১৯৬০ সালে এই উপজেলার আয়তন ছিল ৫৪ বর্গকিলোমিটার। আর এখন মাত্র ২৭ বর্গকিলোমিটার।
এসব বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে বর্ষায় পানি ঢুকে প্লাবিত হয় ১৫টি গ্রাম। তখন পানিবন্দি হয়ে পড়ে কয়েকশ পরিবার।


শেয়ার করুন