ইসলাম মাহমুদঃ
রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে সেনাবাহিনী কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করেছে।
কিন্তু কাঁটাতারের কাজ শেষ হওয়ার আগেই রোহিঙ্গারা সেই কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে চলাফেরা শুরু করেছে। ঝুঁকি নিয়ে কাঁটাতার পার হয়ে তারা বাজারে যাওয়া আসা করছে। কোনো আইন যেন তারা মানছেই না।
আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সরকার যাবতীয় সুযোগ সুবিধা দিলেও এসব রোহিঙ্গারা তাতে মোটেই সন্তুষ্ট নয়। নানা স্বপ্নে বিভোর এসব রোহিঙ্গারা বিদেশে পাড়ি জমানোর জন্য সু-কৌশলে ক্যাম্প ছেড়ে পালাচ্ছে।
আগে বিভিন্ন যানবাহন থেকে পলায়নরত রোহিঙ্গাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে। পুরো লকডাউনে তাদের নিস্ক্রিতার সুযোগে প্রতিনিয়ত শত শত রোহিঙ্গা স্বপরিবারে ক্যাম্প থেকে পালাচ্ছে। এসব রোহিঙ্গাদের অনিশ্চিত যাত্রাপথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা না হলে দেশের জন্য ভবিষ্যতে এসব রোহিঙ্গারা বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম চালু হওয়ায় ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বিভিন্ন স্থানে তাদের পূর্বে পালিয়ে আসা আত্নীয় স্বজনদের বাসায় আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। জানা যায়, কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে রোহিঙ্গাদের(বর্তমানে অসদুপায়ে বাংলাদেশি) বসবাস রয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজার শহরের প্রত্যেক ওয়ার্ডে রয়েছে এসব বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্রধারী রোহিঙ্গাদের বসবাস। তাদের পরিচয় দিয়ে অন্যান্য রোহিঙ্গাদের হাতে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশি জন্ম সনদ থেকে শুরু করে জাতীয় পরিচয়পত্র।
তবে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন কৌশলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। তারা দখলে নিচ্ছে স্থানীয় শ্রমবাজার। রোহিঙ্গারা কম মজুরিতে কাজে নিয়োজিত হয়।
ফলে স্থানীয় শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক নিয়ে কাজ করতে পারতেছেনা। কারণ রোহিঙ্গা শ্রমিকরা স্বল্প মজুরিতে কাজ করায় প্রায়ই সবখানে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা লক্ষ করা যায়।
তারা প্রতিদিন উখিয়ার বিভিন্ন স্টেশনে সকালে এসে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে।
উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান,রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প ছেড়ে পালানোর বিষয়টি খবর পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের জন্মসনদ ও বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার পেছনে অসাধু কিছু জনপ্রতিনিধির হাত রয়েছে বলে জানান তিনি।
কাঁটাতারের ফাঁকে রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধনের স্বপ্ন!
শেয়ার করুন