বিশেষ প্রতিবেদক :
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রণ শাখায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে দূর্ণীতে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৫ জনকে তলব করেছে দূর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে ১৯ জনকে আগামী ১৫ থেকে ২২ নভেম্বরের মধ্যে এবং ৬ জনকে ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত বিভিন্ন সময়ে করেছে দূর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্রগ্রাম-২ এ স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, হাজিরের সময় স্বস্ব ব্যক্তি ও তাদের স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্টের ফটোকপি ও মুল কপি, তাদের এবং তাদের উপর নির্ভশীল ব্যক্তিদের নামে থাকা সকল ব্যাংক হিসাবের হিসাব বিরণী সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও তাদের আয়কর নথি ১০-বিসহ সর্বশেষ করবর্ষের কপি নিতে বলা হয়েছে।
১৫ থেকে ২২ নভেম্বরের মধ্যে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে ১৯ জনকে। এরা হলেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রণ শাখার সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলও) রেজাউল করিম, অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এএলও) মোশাররফ হোসেন, বিজয় কুমার সিংহ, কানুনগো আব্দুল খালেক, আব্দুর রহমান, বসন্ত কুমার চাকমা। সার্ভেয়ার রাসেল মাহমুদ মজুমদার, কবির আহমেদ, ক্যাশব লাল দে, পরিমল চন্দ্র দাশ, সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী, মিশুক চাকমা, আতাউল হক, পিকলু দাশ। তহশীলদার: জয়নাল। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী এহসান কুতুবী ও আবুল হাশেম। কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ ও কক্সবাজার পৌরসভার সচিব রাসেল চৌধুরী।
অপরদিকে ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত বিভিন্ন সময়ে স্বশরীরে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে ৬ জনকে। এরা হলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) শাহরিয়ার মোক্তার, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা শামীম হোসেন, কানুনগো, নুরুল ইসলাম, সার্ভেয়ার মোঃ জিয়াউর রহমান, আশরাফুজ্জামান, ও সাবেক কানুনগো বাবুল বাতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দূর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্রগ্রাম-২ এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা।