প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস পুরো বিশ্বকে কাবু করেছে। বাদ যায়নি বাংলাদেশও। দিন যাচ্ছে আর দেশে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। মারাও যাচ্ছে অনেকে। এ দুর্যোগময় মুহুর্তে সেবাদান প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। পরিবার পরিজনদের ছেড়ে এ দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছেন তারা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বহু চিকিৎসক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষকে। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা তেমনি সেবা দিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার শহরের বদর মোকাম এলাকার ডা.জমির মোহাম্মদ হাসিবুস ছাত্তার। তিনি ঐ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও নার্সরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। জাতির এ সংকটময় মূহুর্তে মাঠ পর্যায়ে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
দেশের বড় বড় হাসপাতালে অনেককে সেবা না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেক্ষত্রে ভিন্ন এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। করোনা পরিস্থিতি জ্বর, সর্দি ও কাশি রোগীদের জন্য করা হয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। নিয়মিত চিকিৎসকরা জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত রোগীদের পৃথকভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এখানে ১০জন চিকিৎসক রয়েছেন। যারা এ মূহুর্তে জরুরি সেবায় নিয়োজিত আছেন। করোনা পরিস্থিতে একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নে আলাদা মেডিক্যাল টীম গঠনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। যেখানেই করোনা উপসর্গের রোগী পাওয়া যাচ্ছে তাৎক্ষণিক সেখানে ছুটে যাচ্ছেন। নমুনা সংগ্রহ করছেন। দিচ্ছেন পর্যাপ্ত পরামর্শ। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে পৃথক মেডিক্যাল টীম। পুরো উপজেলায় বিদেশ ফেরত লোকদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করণে শুরু থেকেই তৎপর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রেখে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছেন। যা সাধারণ লোকজনের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.জমির মোহাম্মদ হাসিবুস ছাত্তার জানান, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির শুরু থেকেই নিরলসভাবে কাজ করছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বিদেশ ফেরত লোকদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরণসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। করোনা উপসর্গ পাওয়া রোগীদের বাড়ি গিয়ে তাৎক্ষণিক মেডিক্যাল টীম গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করছে। দিচ্ছে পর্যাপ্ত পরামর্শও। দুটি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জ্বর, সর্দি, কাশি রোগিদের পৃথকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সর্বপরি উপজেলার সকল লোকের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে তৎপর রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।