হুমায়ুন সিকদারঃ
গত ৩দিন ধরে ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার পেকুয়া, চকরিয়া, রামু ও সদরের বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বন্যা পরিস্থিতির আশংকা ও দেখা দিয়েছে। একদিকে বৈশ্বিক করোনা মহামারি দুর্যোগে মানুষের করুণ দশা তার সাথে ভারি বর্ষনে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার নতুন দুর্ভোগ।
অতি বর্ষনে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত সহস্র মানুষ। পাহাড়ি এলাকার ঢলে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
ওই এলাকাগুলোতে ভারি বর্ষণ হচ্ছে। অনেক গ্রামবাসী পানিবন্দি হয়ে পডেছে বলেও জানাযায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদরের চান্দেরআড়া, মুহুরি পাড়া, পেশকারপাড়া, ঈদগাঁওতে চৌফলদন্ডী, পোকখালী ও মহেশখালীতেও নতুন করে অনেক গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে।
পেকুয়া ও চকরিয়ায় ও নতুন করে অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়েছে।
ককসবাজার পৌরসভার বাজারঘাটা প্রধান সড়কে ময়লা আবর্জনার পাশাপাশি পানিতে টইটম্বুর।
চকরিয়ার খুটাখালি, পেকুয়ার কয়েকটি এলাকা ছাড়াও সদরের বৃহত্তর ঈদগাহ ও রামুর গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, নাইক্ষ্যংছড়ির নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানি বন্দি বলে জানা গেছে।
পানি বন্দি এলাকার লোকজন ঘুমাতে ও খেতে পারছেনা বলে জানা গেছে।
আজকের বৃষ্টিতেও বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভেঙে গেছে ব্রীজ – কালভার্ট।
এমুহূর্তে পানিবন্দি লোকজনকে সহযোগিতার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতে টানা ভারি বর্ষনে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ।
পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডেও নির্মাণাধীন ব্রীজ ভেঙে পড়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় সড়ক উপসড়কের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
আবহাওয়া সুত্র জানায়, ককসবাজারে ৩ নং স্হানীয় সতর্ক সংকেত ও দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বারি বর্ষনের কারনে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। । ভারি বৃষ্টিতে কিছু পরিবার গত বুধবার দুপুর থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। নৌকা বা ভেলা ছাড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ধেয়ে আসছে চকরিয়া, পেকুয়া ও রামুর
নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে ওই অঞ্চলের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের বীজতলা ও শাকসবজির খামার। ভেসে গেছে পুকুরের ও ঘেরের মাছ।