ঘুমধুম সীমান্তে রোহিঙ্গা নিহত, পুলিশের ধারণা স্থলমাইন বিস্ফোরণ

সিটিএন ডেস্ক

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এলাকার ৩৯ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী তুইঙ্গাপাড়া এলাকা থেকে এক রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ধারণা করছে, রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পুনঃপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে, তিনিসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে এক রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করে। তার বয়স অনুমানিক ৩৬ হবে। এ সময় তার পরনে লুঙ্গি-গেঞ্জি ছিল। তবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তির শরীরের দুই পা বিচ্ছিন্ন ও চোখ উপড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ‘বিজিপি’ সীমান্তে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটেছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবিরের চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যাতে ফিরে যেতে না পারে, সেজন্য সীমান্তে বিজিপি স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে। এই স্থলমাইনে কাঠ কুড়াতে যাওয়া এক রোহিঙ্গা বিস্ফোরণে মারা যাওয়ার খবর শুনেছি।


শেয়ার করুন