আবরার হত্যায় অভিযুক্তরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণে অভ্যস্ত ছিল: পুলিশ

সিটিএন ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, র‍্যাগিংয়ের নামে উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের অভ্যস্ততার অংশ হিসেবেই আবরার হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগে থেকে মনিটরিং করলে এমন ঘটনা না–ও ঘটতে পারত। কেউ তাদের সালাম না দিলে, দ্বিমত পোষণ করলে, তাদের সামনে হাসলে ইত্যাদি কারণে র‍্যাগিংয়ের নামে তারা নতুনদের নির্যাতন করতেন।

বুধবার দুপুর ১২টায় ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আসামিদের কার কী অপরাধ তা তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে চারজন পলাতক রয়েছেন। আর বাকি ২১ জন কারাগারে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন-মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অমিত সাহা, মাজেদুল ইসলাম, মুজাহিদুর রহমান, তাবাখারুল ইসলাম তানভীর, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. জিসান, আকাশ হোসেন, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মো. মোর্শেদ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, এস এম মাহমুদ সেতু ও মুজতবা রাফিদ।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে। গত ৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে চকবাজার থানা পুলিশ।

জানা গেছে, ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েক নেতা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. বরকত উল্লাহ ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।


শেয়ার করুন